কৈ মাছের আষাঢ়োদ্বেগ
- আরিফ শামসুল ২৮-০৪-২০২৪
১. হাত ধরো, উঠে এসো। ডাঙায় শূন্যতা আছে—ভালোবাসা আছে!
২. তোমার ক্ষতের সমানুপাতিক অশ্র“ও এ স্বার্থের পৃথিবীতে নেই।
৩. অনেকেই ধরা পড়ে গেছে। এখনও সময় নিয়ে ভাবতে পারো—ধরাপড়ার লোভ তোমার আছে কিনা!
১
আশৈশব কাশবন দেখেছি, উপকূল কৈশোরজুড়ে। ভুলে ভুলে ভুলের সাগর পেরিয়ে, ভুলের পাহাড় ডিঙিয়ে এসে পড়েছি আবার এই ধানক্ষেতে। আমাকে অনেকেই গুঁইসাপ ভাবে।
শূন্যতার মায়াপাশ এড়িয়েছি বারো বছর আগে। আলোকোদ্ভাসিত ভালোবাসায় হাজারবার যতই চিৎকার করি, ‘পূর্ণ হও, যোগ্য হও’। শূন্যতা শুধুই গা ঘেঁষে বসে থাকে—বসন পরিবর্তন করে।
সবাই ভাবে, তলদেশে আমার স্থান।
আমি এখন অনেক গহীনে, অনেক গভীরে...
এখানেও খুব গভীর করে ভাবি, ‘ভালোবাসার জীবাণুগুলোই সার্থক’।
২
পৃথিবীতে অশ্রুর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। রক্ত বিক্রি হয় অশ্র“র দামে। একবিন্দু নতুন আলো দেখে তেমন কেউ নিজস্ব আলো হাতে এগিয়ে আসে না। সব আলো লুট হবার জন্য জন্ম নেয়। আলো নিয়ে ইদানীং বাণিজ্য বেশ জমে।
৩
পৃথিবীকেন্দ্রের আকর্ষণে সবকিছু ধরা পড়ে আছে।
যতবার জানালা খুলে দাঁড়াই, চেতনায় লোডশেডিং ঘটে। একবার একটা বাচ্চা সাপকে ঢুকতে দেখেছি টাকিমাছের পেটে; মুরগিছানা ধরে খেয়েছে কুনোব্যাঙ। সবকিছুই পৃথিবীর সূত্র মানে।
সব সূত্রের বাইরেও আছে আকাশ, নদী...। রক্তাক্ত আকাশ, হলুদ নদী... খেয়ালখুশিতে তুলিতে ফোটাবার মতো প্রকৃতি। এ-জলাধারে ডুব দাও, ‘স্বপ্ন’ দেখতে পাবে। রাতের আকাশ নিজেকে ব্যাখ্যা করে তোমার কাছে। দেখে দেখে মুগ্ধ হও; পথের চাবি মিলে যাবে। বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তোমার পিছু নিয়েছে। রক্তাক্ত হও; মিলে যাবে চরম মুক্তি।
[২০১০]
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।